টারমারিক ইমিউন বুস্টার এর উপকারিতা

টারমারিক ইমিউন বুস্টার অ্যান্টি–ইনফ্লামেশন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও কার্কুমিন উপাদান আছে, যা আমাদের অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে। টারমারিক ইমিউন বুস্টার একাই একশোর বেশি রোগ সারাতে পারে। টারমারিক ইমিউন বুস্টার প্রধান উপাদান কার্কুমিন । কার্কিউমিন প্রদাহ বিরোধী, অ্যান্টিটিউমার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রভাবগুলোর জন্য পরিচিত। সেই সঙ্গে এতে মজুত রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজও, যা নানাভাবে শরীরকে মজবুত রাখতে এবং কঠিন থেকে কঠিনতর রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে যাদের ইমিউনিটি দুর্বলতার জন্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাদের জন্য টারমারিক ইমিউন বুস্টার আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার ডায়াবেটিস কমায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সকালে টারমারিক ইমিউন বুস্টার খেলে দেহের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না এবং এটি অগ্নাশয়গ্রন্থি কে হেলদি রাখে।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস করে

টারমারিক ইমিউন বুস্টারে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। যেকোন ধরনের আর্থ্রাইটিসের ভয়াবহতা থেকে এটি রক্ষা করে। হাড়ের কোষকে সুরক্ষা দেয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নড়াচড়ার অসুবিধা দূর করে। বিভিন্ন জয়েন্ট ব্যাথাতে এটি ম্যাজিকের মত কাজ করে।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার ক্যানসার ঠেকাতে সাহায্য করে

টারমারিক ইমিউন বুস্টারের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তকণিকাকে নিরাপদ রাখে। ফলে স্তন ক্যানসার, পাকস্থলী, কোলন ও ত্বকের ক্যানসার তৈরি হতে পারে না।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার ক্ষত সারায়

এতে উপস্থিত কার্কিউমিন এবং ফেনুগ্রিক সহ আরও নানা সব অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা যে কোনো ধরনের ক্ষতের যন্ত্রণা কমায়। এটা আঘাত সারাতেও দারুণভাবে কাজ করে। এটি বাচ্চাদের নিয়মিত খাওয়ালে বিভিন্ন ধরনের অটো ইমিউন রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে

অনিয়মিত মাসিক রোধ, হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ–বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে টারমারিক ইমিউন বুস্টারে। এই উপাদান পিরিয়ডের আগের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এছারাও এটি ওভারির সিস্ট দূর করতে সাহায্য করে।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার এর উপকারিতা

টারমারিক ইমিউন বুস্টার হজম ক্ষমতা বাড়ায়

একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত টারমারিক ইমিউন বুস্টার খাওয়া শুরু করলে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে বদহজমের আশঙ্কা যেমন কমে তেমনি গ্যাস-অম্বল এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার কোন রোগের জন্য

মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা রোধ করে

টারমারিক ইমিউন বুস্টারে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পার্কিনসনস, আলঝেইমার, টিস্যুর স্থবিরতার মতো অসুস্থতা রোধ করতে সক্ষম। এটি আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য আদান প্রদানের পরিমাণ বাড়ায়। হতাশার বা দুশ্চিন্তা কমাতে এটি সাহায্য করে।

টারমারিক ইমিউন বুস্টার যকৃৎ সুরক্ষিত রাখে

যকৃতের নানান রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এটি কাজ করে। লিভারের বহুবৃদ্ধি, চর্বি জমা, হেপাটাইটিস, সিরোসিস, গলব্লাডারের বিভিন্ন সমস্যা সমস্যা তৈরিতে বাধা দেয়।

মাথা যন্ত্রণা সারায়

এবার থেকে মাথা যন্ত্রণা হলেই এক কাপ টারমারিক ইমিউন বুস্টার মেশানো দুধ খেয়ে নেবেন। দেখবেন কষ্ট কমে গেছে। টারমারিক ইমিউন বুস্টারে থাকা কার্কিউমিন এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায়। ফলে মাথা যন্ত্রণা কমতে কমে।

কিভাবে টারমারিক ইমিউন বুস্টার খেতে হবে

প্রতিদিন সকালে ১ কাপ কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ টারমারিক ইমিউন বুস্টার মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে এর মধ্যে ১ চামচ কোল্ড প্রেস নারিকেল তেল মিশিয়ে নিলে খুবই ভাল কাজ করে। বাচ্চাদের জন্য ১/২ কাপ কুসুম গরম পানিতে ১/২ চা চামচ টারমারিক ইমিউন বুস্টার মিশিয়ে পান করাতে পারেন।